হিজামা কি জানতে চান কি? হিজামা করার উপকারিতা, অপকারিতা এবং প্রয়োজনীয়তা নিয়ে এই নিবন্ধটি পড়ুন। জানুন কেন হিজামা দূর করে টেনশন এবং কিভাবে এটি আপনার স্বাস্থ্যকে ভালবাসা দেবে।
হিজামা করা হলো একটি প্রাচীন প্রকৃতি চিকিৎসা যা আসলে আরব প্রদেশ থেকে শুরু হয়েছে। এটি সেই ক্ষেত্রে একটি প্রচলিত চিকিৎসা হিসেবে পরিচিত। এই প্রক্রিয়াটি হিজামা বা কাপ থেকে সংশ্লিষ্ট হয়ে উপকারিতা পাওয়া হয়। হিজামা করা হলো খুবই সহজ প্রক্রিয়া যা বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে ব্যবহৃত হয়। এটি আধুনিক চিকিৎসা কর্মকে পরিত্রাণ দেওয়ার জন্য একটি উপকারিতা সম্পন্ন পদক্ষেপ হিসেবে মনে করা হয়।
হিজামা চিকিৎসা কোন ধরণ আছে এবং হিজামা কিভাবে করা হয়?
হিজামার প্রধান ধরণ হল শুষ্ক হিজামা এবং প্রশস্ত হিজামা।
শুষ্ক হিজামা মূখ্যতঃ শরীরের উপরের অংশ এবং
প্রশস্ত হিজামা মূখ্যতঃ শরীরের নিচের অংশ থেকে রক্ত পরিষ্কার করে।
শুষ্ক হিজামা ব্যবহার করে বহুজন শরীরে রক্ত পরিষ্কার করতে পারেন। অন্যদিকে প্রশস্ত হিজামা একটি কমপক্ষে দুই দিন ধরে করা উচিত। প্রশস্ত হিজামা করার জন্য প্রথমে রক্তস্রাব হতে হবে তারপর প্রশস্ত হিজামা করা হবে।
হিজামা করার জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়। এই যন্ত্রপাতি একটি হিজামা কাপের উপরে স্থাপিত হয় এবং কাপের ভিতরে শুষ্ক বা প্রশস্ত হিজামা রাখা হয়। পরবর্তীতে কাপ বের করা হয় এবং তারপর সেই স্থানে স্যানিটাইজ করা হয়।
হিজামা করার উপকারিতা ও অপকারিতা কি?

হিজামা করার উপকারিতা বেশি রয়েছে এবং অপকারিতা খুবই কম। এটি শরীরের বিভিন্ন সমস্যার জন্য একটি উপকারী পদ্ধতি। নিচে কিছু হিজামা করার উপকারিতা উল্লেখ করা হল:
উপকারিতা:
- শরীরের বিভিন্ন রোগ এবং ব্যাধি মোকাবেলা করে।
- ব্লাড সার্কুলেশন বাড়ায় এবং শরীরের অধিকাংশ অঞ্চলের ব্লাড প্রসার বাড়ায়।
- স্বাস্থ্যকর জীবন সম্পন্ন করে।
- শরীরের ক্ষতিকারক ক্ষতিগুলো সমাপ্ত করে।
- স্থগিত রক্ত বা টক নির্গমন করে।
- প্রতিরোধকশক্তি বাড়ায় এবং অস্থিমজ্জা প্রতিরোধকশক্তি বাড়ায়।
হিজামা করার অপকারিতা সমূহ নিম্নলিখিত হতে পারেঃ
- হিজামা করার সময় চোখ, কান বা নাক সংক্রমণের ঝুঁকি থাকতে পারে।
- হিজামা করার সময় যদি উচ্চ রক্তচাপ থাকে তবে এটি বাধা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- কোনো মানসিক সমস্যা থাকলে এটি অবশ্যই অসুখকর হতে পারে।
- হিজামা করার পর ত্বকে লক্ষ্য করা হয় যে কোনো নকশা বা ঘাম না হওয়া উচিত।
- কারণ নয় হওয়ার কারণে এটি কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের জন্য উপযোগী নয়।
- অতিরিক্ত হিজামা করা অসুখকর হতে পারে এবং ত্বকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
এছাড়াও, হিজামা করার সময় অবশ্যই কোনো নিষেধাজ্ঞা অনুসরণ করা উচিত, এটি কেবল দক্ষ ও প্রশিক্ষিত ব্যক্তিদের দ্বারা করা উচিত।
হিজামা চিকিৎসার সুবিধাসমূহ:
হিজামা চিকিৎসা করলে ব্যাধি ও অসুস্থতার কিছু সুবিধা পাওয়া যায়। প্রথমত, হিজামা করার ফলে আশপাশের শস্যে রক্তচাপ কমে যায় এবং সম্পূর্ণ শরীরের রক্ত পরিষ্কার হয়। এর ফলে শরীরে বিভিন্ন প্রকার রোগের জন্য উপকার হয়। দ্বিতীয়ত, হিজামা চিকিৎসা করার ফলে শরীরের অস্থির মধ্যে আছে যে খারাপ তথ্য পরিষ্কার হয় এবং অস্থির নষ্ট হওয়া বন্ধ হয়। এছাড়াও হিজামা করার ফলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্ত পরিষ্কার হয় এবং এটি বিভিন্ন রোগের জন্য খুবই উপকারী হয়। উদাহরণস্বরূপ, হৃদরোগ, মাংশপেশী সমস্যা, শ্বাসকষ্ট এবং প্রতিরোধশীলতা বাড়ানোর জন্য হিজামা চিকিৎসা খুবই কার্যকর।
- আরো পড়ুনঃ অল্পবয়সী প্রাপ্তবয়স্কদের ডায়াবেটিস কেন হয়?
- যে উপসর্গগুলি আপনাকে ডায়াবেটিস শনাক্ত করতে সাহায্য করবে!
- KatmovieHD APK Download For the Latest Version
- Ngayon Kaya Full Movie Download For FREE!
হিজামা করার পর যা হয়?
হিজামা করার পর সাধারণত হিজামার স্থানে কিছুক্ষণ লাল বা নীল রঙের পাতলা ছাপ দেখা যায়। এটি একটি স্থানীয় ব্যবহার করা অলিভ অযেল বা পানির জাল দিয়ে সাফ করা যেতে পারে।
হিজামা করার পর যদি কোনো রক্তদাব বা স্থানীয় জ্বর দেখা দেয় তবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিত্সা নিতে হবে। হিজামা করার পর বিশেষ করে প্রথম দুটি ঘন্টা ধরে ভাল খাবার খেতে হবে এবং ফলমূল খেতে হবে। নিয়মিত পানি খেতে হবে এবং খুব জ্বালাময় খাবার হবেন না। হিজামা করার সময় আহারে আবহাওয়া বিশেষত্বে খেতে হবে। এছাড়াও নিয়মিত একটি হালকা ব্যায়াম করতে হবে।
হিজামা কোথায় পাওয়া যায়
হিজামা করার জন্য এখন দিনে বাংলাদেশে অনেক জায়গা রয়েছে। এর মধ্যে বিশেষভাবে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী ও খুলনা সহ অনেক প্রান্তে হিজামা করার সেবা পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে বিশেষভাবে আপনি স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী যেকোনো হাসপাতাল, ক্লিনিক বা আয়ুর্বেদ চিকিৎসাসমূহে হিজামা করতে পারেন। সাথে সাথে আপনি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নাম ও ঠিকানা জানতে পারেন ইন্টারনেট ব্রাউজ করে। আর যদি সম্ভব হয় তাহলে অবশ্যই আপনি কোনো নিখুঁত ও বিশ্বস্ত চিকিৎসাস্থলে হিজামা করতে চেষ্টা করুন।
হিজামা করার সময় কোনো সমস্যা হলে কী করব?

হিজামা করার সময় যদি কোনো সমস্যা হয়, তবে সেটি বেশ কমন। সেক্ষেত্রে নিম্নলিখিত কিছু কাজ করা উচিত:
- হিজামা করা স্থানে সাবান দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
- পানি ও হিজামার পরিমাণ ঠিকমত না হলে হিজামা সরানো উচিত নয়।
- হিজামা করার পর কিছুক্ষন আরাম করতে হবে।
- যদি সমস্যা থাকে তবে নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সাধারণত হিজামা করার পর কোনো সমস্যা হয় না। তবে যদি কোনো সমস্যা হয়, তবে উপরে উল্লেখিত কাজগুলো করে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা উচিত।
কুষ্ঠ পাচার না করার জন্য হিজামা করা হয় কি?
কুষ্ঠ একটি জটিল রোগ। হিজামা করার মাধ্যমে এটি পাচার করা সম্ভব নয়। কুষ্ঠ রোগ নিয়ে চিকিৎসা করার জন্য আপনাকে অবশ্যই প্রশ্ন করতে হবে কুষ্ঠ রোগ আপনার কাছে আছে কিনা। কুষ্ঠ পাচার না করার জন্য আপনাকে উচ্চ গুনগত চিকিৎসা নেওয়া উচিত।
হিজামা করার পূর্বে কি করতে হয়?
হিজামা করার পূর্বে সামান্য পরিমাণে খাবার খেয়ে রাখতে হয়। তাছাড়া নিরাপদ ও পরিষ্কার জায়গায় হিজামা করতে হয়। আপনি যদি কোনো ধরনের চিকিৎসার জন্য হিজামা করার জন্য যান, তবে সেখানে আপনাকে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
হিজামা করা কেউ করতে পারে কিন্তু এটি ব্যবসা হিসেবে করা যাবে কিনা?
হ্যাঁ, হিজামা করা একটি ব্যবসা হিসেবে করা যায়। বিভিন্ন ধরনের হিজামা ব্যবসা রয়েছে এবং এই ব্যবসা বিশেষভাবে মুসলিম দেশে খুবই জনপ্রিয়। হিজামা ব্যবসা করতে চাইলে আপনাকে প্রথমে হিজামা করার পদ্ধতি ও ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ জানতে হবে। এরপর আপনি একজন প্রশিক্ষিত হিজামা চিকিত্সক হতে পারেন। বাংলাদেশে হিজামা ব্যবসা প্রসারিত আছে এবং এটি একটি ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য খুবই উপযোগী।